আজ সোমবার, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে এক ডজন মামলার আসামী সম্রাট বাক্কুর চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিদ্ধিরগঞ্জের চিহিৃত মাদক সম্রাট ফারুক হোসেন ওরফে বাক্কুর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ৬নং ওয়ার্ডের তরুন যুবসমাজ। নাসিক ৬নং এই ওয়ার্ডের শিমুলপাড়া, এসওরোড, বিহারীপট্টি, নতুন বাজারসহ ৫/৬টি স্পটে প্রকাশ্যে চলছে বিভিন্ন মাদক দ্রব্যের কেনা-বেঁচা। শুধু ব্যবসাতেই সে ক্ষান্ত নয়।

এসব স্পটে বাক্কর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা মাদক সেবন ও সরবরাহও করছে দাপটের সাথে। এতে চরম উৎকন্ঠা ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে অভিভাবকরা। পূর্বে সে ডিবি পুলিশ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে একাধিক বার ফেন্সীডিলসহ গ্রেফতার হয়ে কারাবাস করলেও আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে পুনঃরায় শুরু করে মাদক ব্যবসা। তাঁর এই অবাধে মাদক ব্যবসা পরিচালনার কারণে সিদ্ধিরগঞ্জে দিন দিন মাদক সেবী ও ব্যাবসায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার মধ্যে তরুণ যুবসমাজের সংখ্যাই বেশি। ফলে চরম উৎকন্ঠা ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে ঐসব এলাকাসহ নাসিক ৬নং ওয়ার্ড এলাকার বেশিরভাগ অভিভাবকরা।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের শিমুলপাড়া, এসওরোড, বিহারীপট্টি, নতুন বাজারসহ ৫/৬টি স্পটে প্রকাশ্যে চলছে ইয়াবা ট্যাবলেট ও ফেন্সিডিল সহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্যের কেনা-বেঁচা, সরবরাহ এবং সেবন। তরুণ যুবসমাজ দিন দিন এসব মাদক স্পটে ভীড় জমাচ্ছে এবং মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া প্রায়ই মাদক সেবনকারী ও ব্যবাসার সাথে জড়িতরা নানা ধরনের সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটাচ্ছে। তাদের এই মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মারামারি, খুঁন, ধর্ষণ, হামলা-ভাঙচুরের মতো নানা ঘটনা ঘটছে। যার ফলে এসব এলাকায় বসবাসের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। স্থানীয়রা জানান, নুরু মিয়ার ছেলে শাহ আলম, ইউছুপের ছেলে ফেন্সী হান্নান, সিব্বির আহমেদ, শ্রমিকদল নেতা ইসমাইল হোসেন ইমন, শেখ হান্নান, কসাই জামাল ও কসাই বাবু সহ অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজন মিলে ৬নং ওয়ার্ডের এসব মাদক স্পটে বাধাহীন ভাবে দাপটের সাথে ফারুক হোসেন ওরফে বাক্কুর সহযোগীরা তাঁর এই মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। এসব মাদক ব্যবসায়ীরা একাধিক বার পুলিশ ও ডিবির হাতে গ্রেফতার হলেও জামিনে এসে পুনঃরায় মাদক ব্যাবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে জানিয়ে এর স্থায়ী প্রতিকারের দাবি জানায়। এবিষয়ে কথা হলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম বলেন, মাদক হলো সমাজের অন্যতম প্রধান একটি সমস্যা। সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করতে পারলে সামাজিক ও অন্যান্য অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে। ৬নং ওয়ার্ড এলাকার বহুলোকজন তার কাছে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছিল।

শুধু বাক্কুই না, সকল মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ সুপারের নিকট দাবি জানান তিনি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মীর শাহিন শাহ পারভেজ বলেন, ফারুক হোসেন ওরফে বাক্কু পুলিশের তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাসহ বিভিন্ন থানায় মাদক আইনে প্রায় ১ ডজন মামলা রয়েছে। তিনি জানান, সকল মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি পুলিশের নজরধারী রয়েছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশ- যত প্রভাবশালী মাদক ব্যাবসায়ীই হোকনা কেন, কোন ছাড় দেওয়া হবেনা। তাকে গ্রেফতার হতেই হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ